সোজাসাপটা রিপোর্ট: কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে পর পর দুই বার চেয়াম্যান নির্বাচিত হতে সহায়তা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। মূলত শামীম ওসমান চেয়েছেন বলেই মনিরুল আলম সেন্টু বিগত দুটি নির্বাচনে কুতুবপুরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
অথচ এই মনিরুল আলম সেন্টু এখন কুতুবপুরের বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা রেখে চলছেন। বিএনপির কিছু নেতাও প্রতিনিয়ত মনিরুল আলম সেন্টুর সাথে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু সচেতন মহলের প্রশ্ন হলো মনিরুল আলম সেন্টু কি শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের বাহিরে গিয়ে বিএনপিকে সহযোগীতা করতে সক্ষম হবেন? এটা অনেকেই মনে করেন পরিস্থিতির বড় আকারে পরিবর্তন না হলে সেটা তিনি পারবেন না।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন আগামী নির্বাচনও যদি বিগত নির্বাচনের মতো এক তরফা হয় তাহলে পরিস্থিতি হবে এক রকম। তখন আর মনিরুল আলম সেন্টুর সহায়তা ছাড়াই আবারও এমপি নির্বাচিত হবেন শামীম ওসমান। কিন্তু বর্তমানে সারা দেশে বিএনপি সব বিরোধী দলগুলি যে আন্দোলন করছে আর এই আন্দোলন যদি সফল হয় এবং এশটি অংশগ্রহনমূলক অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন হয় তাহলে পরিস্থিতি হবে অন্য রকম।
সেই নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি এবং বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তখন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সাথে গিয়াস উদ্দিনের তুমুল লড়াই হবে। তখন মনিরুল আলম সেন্টু পরবেন বিপাকে। তখন তিনি কার পাশে দাড়াবেন সেই প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি কি তার পূরনো দল বিএনপির প্রার্থীর পাশে দাড়াবেন? নাকি বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমানের পাশে দাড়াবেন? তবে অনেকে মনে করেন শামীম ওসমান যে ভাবে নিজ দলের নেতাদের বাদ দিয়ে বিগত দুটি নির্বাচনে মনিরুল আলম সেন্টুকে বিজয়ী হতে সহায়তা করেছেন তাতে সেন্টুর উচিৎ হবে শামীম ওসমানের পাশে থাকা।
তবে যে যাই বলুক দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে তাতে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় সেটা বলা যায় না। নির্বাচন যদি অংশগ্রহনমূলক হয় তাহলে মনিরুল আলম সেন্টু কার পক্ষে মাঠে নামলেন সেটা বড় বিষয় হবে না বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের নেতাকর্মীরা।