০১ এপ্রিল, ২০২৩, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯

মেডিকেলে চান্স পেলেও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুমির পরিবার

সিদ্ধিরগঞ্জ
মেডিকেলে চান্স পেলেও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুমির পরিবার

ফেনীর দাগনভূঞার পান বিক্রেতা বাবার দরিদ্র ঘরের সন্তানটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের পূর্বহীরাপুর গ্রামের পরিমল রায় ও শিখা রানী রায়ের একমাত্র মেয়ে সুমি রায় সদ্য প্রকাশিত মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। 

এ নিয়ে সুমিদের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। আশপাশের লোকজন সুমিকে দেখতে আসছে এবং দোয়া করছে। তবে মেডিকেলে ভর্তির খরচ এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুমির পরিবার। 

সুমির বাবা স্থানীয় সিলোনিয়া বাজারে টুকরিতে পান বিক্রি করে সংসার চালান। মা গৃহিণী। বাবার একার আয়েই চলে টানাপড়েনের সংসার। অভাবের কারণে প্রাইভেট বা কোচিংয়ে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেনি। কিছু বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে পারলে আরও ভালো করতে পারত বলে সুমির আক্ষেপ আছে। তবে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। 

জানা গেছে, থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে তার এক ভাই শৈশবেই মারা যায়। অর্থের অভাবে তার মা-বাবা ছেলের ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে ভাইয়ের চলে যাওয়ার বেদনা তাকে ভারাক্রান্ত করে। বড় হয়ে সেবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সে যেন মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারে, এ জন্য সে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।

মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে এ আনন্দে পরিবারে মিষ্টিমুখের কোনো আয়োজন নেই। মা-বাবার চোখেমুখে আনন্দ দেখা গেলেও ভেতরে আছে গভীর দুশ্চিন্তা। মেডিকেলে ভর্তির খরচ জোগাতেই গলর্দগম অবস্থা বাবা পরিমলের। 

সুমির বড় চাচা নন্দলাল রায় ভাতিজী সুমির ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবনের খরচের কথা চিন্তা করে দিন পার করছে। তিনি এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে সহযোগিতা কামনা করেছেন।