সোজাসাপটা রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জর নিতাইগঞ্জে একটি খাদ্য গুদামে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আওলাদ হোসেন নামে একজন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫ টি ইউনিট একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রেণে আনে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার সকাল ৯ টায় এ নিতাইগঞ্জে ডাইলপট্টি গলিতে জেলা আটা-ময়দা মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস দেওয়ানের পরিত্যক্ত ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রায় শত বছরের পুরোনো। ১০ বছর আগেই এটিকে
পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। তবুও ভবনের নীচন তলায় ডাল, চাল, ভূষি, লবণ ও
কাগজের গোডাউন রেখে ব্যবসা করা হতো। দু তলায় শ্রমিক, ট্রাক চালকরা থাকতেন।
নীচে চলতো বেচাকেনা। সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জে নিতাইগঞ্জে দোতালা ভবনের একটি
খাদ্য গুদামে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে ও আগুন লেগে যায়। ডাল, চাল, ভূষি, লবন,
কাগজের গুদাম ছিল।
এসময় ৪ জন দ্বগ্ধ হয়। আহত হয় আরো কয়েকজন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আরে ২টি ইউনটি যোগ দিয়ে আরো আধঘন্টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলে। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ তিনশ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সেখানে আওলাদ নামের এক
শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফারির
ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানা,চার জনকে ঢাকা মেডিকেল আনা হলে আওলাদ নামের
একজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রায় সময় ভবন থেকে ইট খষে পড়তো। সকালে হঠ্যাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
ফায়ার
সার্ভিসের উপপরিচালক আরও জানান, ঘটনার পর স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের
সদস্যরা দগ্ধ দুইজন সহ ৯ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ভবনের বিস্ফোরণে
পেছনের অংশে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছে। তবে
বিস্ফোরণের কারণ সনাক্ত করা যায়নি। ভবনের উত্তর পাশে একটি সচল গ্যাস সংযোগ
পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে
পরির্দশ শেষ নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, আহতদের
মধ্যে আউলাদ হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সরকার
হোসেন, জাহাঙ্গীর, সেন্টু, রাজু, বিশুসহ অন্যরা। তারা পণ্য উঠানামা করা
শ্রমিক, ট্রাক চালক ও দোকান মালিক।
নারায়ণগঞ্জ
তিনশ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জানান, ফায়ার সার্ভিসের
মাধ্যমে আমাদের কাছে ৪ জন দগ্ধ রোগী নিয়ে আসা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা
দিয়ে শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।