২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০

বেলারুশে পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন, নির্লিপ্ত যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক সংবাদ
বেলারুশে পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন, নির্লিপ্ত যুক্তরাষ্ট্র

সোজাসাপটা ডেস্ক: বেলারুশে স্বল্প পাল্লার ট্যাকটিকাল পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি নিজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (১৬ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে তিনি ঘোষণা দেন, যদি রাশিয়ার ভূখণ্ডে কোনো আঘাত আসে এবং তারা যদি কোনো ধরনের হুমকি অনুভব করে তাহলে এগুলো ব্যবহার করতে রাশিয়া দ্বিধা করবে না।

বক্তব্যের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে 'দমনের' পদক্ষেপ বলেন। তিনি বলেন, ‘যে বা যারাই আমাদের কৌশলগত দিক থেকে হারাতে চায়, তাদের জন্য এটা একটা বার্তা।’

ফোরামের সভাপতি পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা নিয়ে পুতিনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কেন সারা বিশ্বকে আমরা ভয় দেখাব? আমি এটা ইতোমধ্যেই বলেছি, এ ধরনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ আমরা তখনই নেব যখন রাশিয়ার ওপর সরাসরি কোনো হুমকি আসবে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ বিষয়ে বলেছে, ক্রেমলিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে কোনো হামলার পরিকল্পনা করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পুতিনের মন্তব্যের বিপরীতে বলেন, ‘রাশিয়ার পারমাণবিক হামলা চালানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না আমরা। আমাদের নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্রের অবস্থান পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এই কূটনীতিক বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোকে ভর্ৎসনা করেন। লুকাশেঙ্কোর নিজের দেশকে রাশিয়ার অস্ত্র ব্যবহারের স্টেশন বানানোর সিদ্ধান্তকে ব্লিঙ্কেন ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন ও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী’ বলে মন্তব্য করেন।

বেলারুশ ইউক্রেন-রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশটি তার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পুতিনের অস্ত্র ছোড়ার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই।

কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বলতে বোঝানো হয়, ছোট ছোট পারমাণবিক অস্ত্রকে, যেগুলো সাধারণত যুদ্ধের ময়দানে নিয়ন্ত্রিত হামলা চালনায় ব্যবহার হয়। এগুলো রেডিওঅ্যাকটিভিটি অনেক জায়গায় না ছড়িয়ে সুনির্দিষ্ট জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম।

সবচেয়ে ছোট কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলোও এক টন বা তার চেয়ে একটু কম হতে পারে। এর একটিই সাধারণত এক হাজার টন বিস্ফোরক টিএনটির সমতুল্য। যুক্তরাষ্ট্র হিরোশিমায় যে পারমাণবিক বোমাটি ১৯৪৫ সালে ফেলেছিল সেটি ১৫ কিলো টন ছিল।

আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে সেইন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সাক্ষাতের কথা আছে। এর আগে আফ্রিকান নেতারা কিয়েভে শান্তির বার্তা ছড়াতে গিয়েছিলেন। তবে তারা যখন কিয়েভে অবস্থান করছিলেন, ঠিক তখনই শহরজুড়ে রাশিয়ার মিসাইল হামলা চলছিল।