০১ এপ্রিল, ২০২৩, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯

বিপাকে কুতুবপুর বিএনপির নেতারা

রাজনীতি
বিপাকে কুতুবপুর বিএনপির নেতারা

রফিকুল ইসলাম জীবন : ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে নানা মেরুকরন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ইউনিয়নে ফতুল্লার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন।

এরা হলেন থানা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকা, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বিল্লাল হোসেন। তবে এদের পেছনে থেকে এখনো কলকাঠি নাড়ছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং পরবর্তীত বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা মনিরুল আলম সেন্টু চেয়ারম্যান।


তিনি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগে মনিরুল আলম সেন্টুর অবস্থান একেবারেই জিরো। একদিকে সেন্টু যেমন আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ^াস করেন না, অপরদিকে তেমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তাকে বিশ^াস করেন না। যার ফলে কুতুবপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সেন্টুর নূন্যতম কোনো অবস্থান নেই। তাই এ সময়ে এসে বিএনপির নেতাকর্মীদেরই ধরে রাখতে চাইছেন তিনি। যার ফলে মনিরুল আলম সেন্টুকে নিয়েই কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপিতে জটিল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।


এদিকে সম্প্রতি বিল্লাল হোসেন কয়েকজন নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সেন্টুকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। দৈনিক শীতলক্ষায় এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে কুতুবপুর বিএনপির তৃনমূল পর্যায়ে নানা রকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।


কারন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশগ্রহন করে আর গিয়াস উদ্দিন ও শামীম ওসমানের মাঝে যদি প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয় তাহলে সেন্টু কার পক্ষ্যে মাঠে নামবেন সেই প্রশ্ন রয়েছে তাদের মাঝে। কারন সেন্টু জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।


মূলত গিয়াস উদ্দিনের নির্দেশেই বিল্লাল হোসেন ফুল দিয়ে সেন্টুর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমানও নিশ্চয়ই মনিরুল আলম সেন্টুর দিকে নজর রাখছেন। তাই বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন দেশের রাজনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন না ঘটলে শেষ পর্যন্ত সেন্টু শামীম ওসমানের পাশে থাকতেই বাধ্য হবেন। আর এটা বুঝেন শহীদুল ইসলাম টিটু, হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ এবং লুৎফর রহমান খোকা। তাই তারা বিএনপির রাজনীতিতে সেন্টুর নাক গলানোকে ভালো ভাবে নিচ্ছেন না।