০১ অক্টোবর, ২০২৩, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০

ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দেবেন ৪ জন: আদালতে মামুনুল হক

সোনারগাঁও
ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দেবেন ৪ জন: আদালতে মামুনুল হক

সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নবম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। আজ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য চারজনকে সমন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।


এদের মধ্যে মামলার বাদী কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমানের সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে। এদিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এরপর তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল।

এ দিন চার্জশিটের ২৩ নম্বর সাক্ষী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিসুর রহমান, ২৪ নম্বর সাক্ষী এএসআই কর্ণকুমার হালদার ও ২৫ নম্বর সাক্ষী এএসআই শেখ ফরিদ সাক্ষী দিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত এ মামলায় মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

জাগো নিউজকে বলেন, আজ মামুনুল হকের বিপরীতে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান ও পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা আছে। তাই মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত আছি।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ  বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা আছে।


২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে  দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারিতে রাখে। এরপর গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।