নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্য দৌলত মেম্বার হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে আসামিদের জামিনের আবেদন করলে আদালত ১৬ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে। একই সাথে সিআইডিতে থাকা মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের ১ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ৯ মে ১৬ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৬ আসামি এ মামলায় জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে। অপরদিকে সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের প্রত্যেকের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিন করে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আসামিরা উপস্থিত হলে আদালতপ্রাঙ্গনে বাদী ও বিবাদী পক্ষের হাতাহাতি হয়। এসময় আসামিদের ছবি তুলতে গেলে ছাতা দিয়ে ঢেকে বাধা প্রদান ও তথ্য সংগ্রহে বাধা দেয়া হয় সংবাদকর্মীদের।
১৬ আসামিরা হলেন- রুবেল (৩৭), ইমরান (৩৪), রানা (৩০), হিমু ওরফে হিমেল (২৫), শাওন (৩০), ফাহাদ (২৬), তাওলাদ হোসেন (৩৫), আমির হোসেন (৩৭), রিহান ওরফে আবু রায়হান (২৩), হাবিবুর রহমান হাবিব (৩৮), সাদ্দাম (৩২), শুভ মিয়া (২৪), মাসুদ রানা মাসুদ (৪২), নাজির (৫৬), রাসেল (৩৮), নাজমুল (২২)। এরা সকলেই নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন পুরাতন ও নতুন সৈয়দপুরের বাসিন্দা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, এ মামলায় ১৬ জন আসামি ৯ মে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে আত্মসমর্পণ করলে আদালত বাদী ও বিবাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে তাদের কারাগারে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে সিআইডিতে তদন্তনাধীন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের জিজ্ঞাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদালত আসামিদের সবার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এটি একটি নৃশংস হত্যাকান্ড। আসামিরা তাকে ছুরিকাঘাত করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পাথর দিয়ে থেতলিয়ে হত্যা করা হয়।
২০২২ সালের ২৬ জুন (রোববার) রাতে গোগনগর ব্রিজের সামনে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা নারায়ণগঞ্জের গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সাবেক মেম্বার দৌলত হোসেনকে খুন করে। নিহত দৌলত হোসেন জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত গোগনগর ও সৈয়দপুর এলাকার একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদক মামলার আসামি ছিলেন।