রূপগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ একজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তির নাম সোনা উদ্দিন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রূপগঞ্জের আউখাবো এলাকার একটি বাসায় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সোনা উদ্দিনের (৪৫) শরীরের ৯৪ শতাংশ, আলি আহমেদের (৬৫) শরীরের ৫৮ শতাংশ, হাসন বানুর (৫৫) শরীরের ৪৬ শতাংশ, সাহেরা বেগমের (২৪) শরীরের ৩০ শতাংশ ও ওমর ফারুকের (১৫) শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। এর মধ্যে সোনা উদ্দিন আজ মারা গেলেন। ওমর ফারুক বাদে বাকি আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম জানান, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন তারা। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী আলি আহমেদ ও ভাই সোনা উদ্দিন গাউছিয়া বাজারে শুঁটকির দোকান করেন। এছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
তিনি আরও জানান, বাসাটিতে লাইনে তেমন গ্যাসে থাকে না। সেজন্য গ্যাস সিলিন্ডার কিনেছিলেন তারা। ঘটনার দিন রাতে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে মধ্যরাতে তাদেরকে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসুন বানুর বড় ছেলে গার্মেন্টসকর্মী ফরমুজ (২২) সেদিন বাসায় না থাকায় বেঁচে যান।
একই পরিবারের দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু
