২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০

কেন্দ্র ঢাকা, টার্নিং পয়েন্টে রাজনীতি

জাতীয় সব খবর
কেন্দ্র ঢাকা, টার্নিং পয়েন্টে রাজনীতি

সোজাসাপটা প্রতিবেদক: ইতিহাসের শহর ঢাকা। দাসত্ব, বিদ্রোহ, মুক্তি সব অতীতই রয়েছে এ শহরের। জীবনের কত রকম কাহিনীই না প্রতিদিন রচিত হয় এখানে। সে ঢাকায় উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। রাজনীতির লড়াইয়ে এক নতুন চ্যাপ্টার খুলছে কাল। বলা হচ্ছে, ফাইনাল খেলার সূচনা। ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। ‘চল চল ঢাকা চল’ স্লোগানে সারা দেশের নেতাকর্মীদের রাজধানীতে জড়ো করার চেষ্টা করছে দলটি। কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে লন্ডন থেকে অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। গেলো কয়েক বছরে হতোদ্যম হয়ে পড়া বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে আন্দোলনের মাঠে ফেরাতে অনেকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন তাকে।




সর্বশেষ পরিস্থিতি দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবহিত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির দুই নেতা।
ওদিকে, একইদিনে ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন। বড় জমায়েতের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে সরকারি দলও। মাঠ দখলের এই লড়াইয়ে শামিল হয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনও। তবে তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে আগামীকাল না করে অন্যদিন সমাবেশ করার। কাল বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোরও মাঠে থাকার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, জামায়াত পহেলা আগস্ট ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে।


এই যখন অবস্থা তখন কৌতূহল বাড়ছে কাল ঢাকায় কী ঘটতে চলেছে। ঢাকার মহানগর পুলিশ কমিশনার এরইমধ্যে এটা স্পষ্ট করেছেন, সব দল কাল অনুমতি পাচ্ছে না। কিছু দল অনুমতি পাবে। ভবিষ্যতে অফিস খোলার দিনে জনগণকে কষ্ট দিয়ে সমাবেশ না করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। কাল বিএনপি কোথায় সমাবেশ করবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি।

সমাবেশের আগ মুহূর্তে পিটার হাস-বিএনপির বৈঠক

অন্যদিকে, সরকারি দলের সমাবেশটি হবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। স্বল্প দূরত্বে বড় সমাবেশে সংঘাতের আশঙ্কাও বিশ্লেষকরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে এ সমাবেশ থেকে বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি দেয় তা নিয়ে। সবচেয়ে জোরদার আলোচনা হচ্ছে সমাবেশ থেকে দাবি মানতে সরকারকে একটি সময় বেঁধে দেয়া হবে। এটি ৪৮ ঘণ্টা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তারপর ঢাকা কেন্দ্রিক লাগাতার কর্মসূচি দেয়া হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আসতে পারে। অন্যদিকে, সরকারি দল সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখছে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজধানী বা রাজধানী প্রবেশমুখে কোথাও বসে পড়েন কি-না সেদিকে।


অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এটাও ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে বিএনপিকে আর নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন নাও করতে দেয়া হতে পারে। তবে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলো কী ধরনের কর্মসূচি নিয়ে এগোয় সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে সবার।

কী হবে ২৭ তারিখ? সম্ভবত এর চেয়েও বড় প্রশ্ন কী হবে ২৭ তারিখের পর? সরকার ও বিরোধী দুই শিবিরকেই আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে। কে না জানে রাজনীতিতে পরিস্থিতি পাল্টে যায় মুহূর্তেই।  সুত্র: মানবজমিন