আদালত প্রতিনিধি: ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার ঘটনায় করা মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগম এ আদেশ দেন৷
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করে মামলাটির অভিযোগপত্র দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)৷ পিবিআই,র অভিযোগপত্রের বিপরীতে আদালতে নারাজি দেন বাদীপক্ষ৷ সোমবার মামলাটির শুনানি শেষে পুনঃতদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷
হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আইভীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর শামীম ওসমানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দেন সিটি মেয়র। অভিযোগটি প্রথমে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করা হলেও ঘটনার ২২ মাস পর আদালতের নির্দেশে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। মামলায় শামীম ওসমানের অনুসারী ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৯০০-১০০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। দীর্ঘসময় তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ঘটনার দিনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দুইজন আসামিকে অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা গেলেও অভিযোগপত্রে তাদের অস্ত্র আইনের ধারা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়৷ অস্ত্র আইনের ধারা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ায় নারাজি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
পরে গত ২৯ জানুয়ারি এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিয়ে পুনঃতদন্তের আবেদন জানান বাদী সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা জিএম সাত্তার৷
ওই সময় তিনি বলেন, `হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজে অস্ত্র দেখা গেছে। সবাই তা দেখেছে। অথচ আসামিদের অস্ত্র আইনের ধারা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এজাহারভুক্ত কয়েকজন আসামিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা নারাজির আবেদন জমা দিয়েছি।
মেয়র আইভীকে হত্যা চেষ্টার মামলা পুনঃতদন্তে সিআইডি
