সোজাসাপটা প্রতিবেদক: নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এবার নতুন নাটক মঞ্চায়িত করলেন এমপি শামীম ওসমান। ডিএনডিবাসিরা একাধিকবার তার দুয়ারে যেয়ে বর্ষার আগে জলাবদ্ধতারোধে ব্যবস্থা নেবার কথা বললেও তিনি কর্নপাত করেননি। এখন এসেছেন তিনি ময়লা পানিতে ডুবন্ত মানুষের দূর্দশা দেখতে। এ যেন ডিএনডিবাসির সঙ্গে তামাশা। এক বালতি মলমুত্রের মধ্যে ১০/১২টা এলাচি দিয়ে দিলে মলে কখনো এলাচির গন্ধ হয়না। বরং এলাচি পরিনত হয় মলে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার এলাকার ত্রিশ চল্লিশ লাখ লোক এখানে থাকে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ময়লাসহ এমন কোন বিষাক্ত ময়লা নেই যা এই পানিতে নেই। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপরও রাখেন। এটা যদি অপসারণ করা না হয় আমি তাহলে ওই ময়লা পানিতে নেমে অবস্থান ধর্মঘটে নেমে যাবো। আমি গলা পর্যন্ত পানিতে নেমে দাঁড়িয়ে থাকবো।
রোববার (২ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জে ডিএনডি এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রত্যাশা আছে কারণ পানিসম্পদ মন্ত্রী মহোদয় আমাকে কথা দিয়েছেন। বলেছে কয়েকটা দিন সময় দিন। নাহলে আমি নিজে যে যে এলাকায় পানি থাকবে সেখানে ময়লা পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানাবো।
ডিএনডি প্রজেক্টের জন্য ১২শ ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মূলত করেনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই টাকাটা আসতে দেরি হয়ে গেছে। তবে এই জুলাই মাসেই টাকাটা আসবে। যেহেতু সেনাবাহিনী কাজটি করবে আমার প্রত্যাশা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি তারা শেষ করতে পারবে। তাদের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের সময় আমি অসুস্থ থাকায় সেখানে যেতে পারিনি। আমার ছেলেকে পাঠিয়েছি। ও তার টিম নিয়ে এলাকাগুলোতে গিয়েছে। ও এসে আমাকে ছবি দেখালো বলল মানুষের যা অবস্থা সেখানে জীবন যাপন করাও সম্ভব না। সেখানে মানুষকে কোরবানি করতে হচ্ছে। আমি কষ্টে ঈদের দিন সারাদিন বের হইনি। কারও সাথে কথাও বলিনি।
তিনি বলেন, আমার পানির কানেকশনটা তো ড্রেনের সাথে থাকতে হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ পুরোটাই তো সিটি করপোরেশনের এলাকা। সিটি করপোরেশনের কাছে অনুরোধ যেন অতিশিঘ্রই সিদ্ধিরগঞ্জের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ঠিক কটা পানিটা যেন ডিএনডি খালে যায়। এটা যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে আমরা পানিতে নেমে বসে থাকবো।