০২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০

শেখ হাসিনার দুই নীতি, ভোট চুরি আর দুর্নীতি : গয়েশ্বর রায়

রাজনীতি এক নজরে
শেখ হাসিনার দুই নীতি, ভোট চুরি আর দুর্নীতি : গয়েশ্বর রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, সরকারের পতন চাই। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, জেল জুলুমের অভাব নেই। এগুলো বলি আর না বলি মানুষের জানার বাকি নেই। আজ সব জিনিসের দাম বেশি। সবচেয়ে সস্তা আওয়ামী লীগ। এই একটা লক্ষন ভাল। কয়েকদিন পরপরই বিদ্যুতের দাম বাড়ে। যতবারই দাম বাড়ে ততবার আওয়ামী লীগের দাম কমে।


শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শহরের খানপুর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।


তিনি বলেন, দেশটা যদি জনগণের হত তাহলে হিসাব দিতে হত। শেখ হাসিনার দুটো ভাল নীতি আছে। শেখ হাসিনার দুই নীতি হল ভোট চুরি আর দুর্নীতি।


মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফাতেহ মোঃ রেজা রিপন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর প্রমুখ।


গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকের এই দিন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ করলাম। আজ বিদ্যুতের দাম কেন বাড়ে। আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কুইক রেন্টাল। যারা পেয়েছে সবাই আওয়ামী লীগের। বাইরের কেউ পায়নি। এই কুইক রেন্টাল দিয়েছে যেটার ক্ষমতা পনেরো সেটাকে দিয়েছে বিশ মেগাওয়াট সাত মেগাওয়াটে দিয়েছে দশ মেগাওয়াট। কেন, তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। বিদ্যুৎ নেই বা না নেই। এভাবে তারা এ দশ বছরে ষাট হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের আত্মীয়-স্বজনরা।


তিনি বলেন, জিনিসের দাম বেশি কম খান, তার নাম ফারুক খান। তিনি যুদ্ধ করেননি। আবার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট চেয়েছেন। বারো বছরে এগারো হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছেন। এ টাকাগুলো গেল কোথায়।



নভেম্বরে ভারতের আদানি সে আরেক বাটপার। ভারতীয় সংসদেও তাকে বাটপার বলেছে। উড়িষ্যার পাশে ঝারখন্ড থেকে এ বিদ্যুৎ কিনেছে আমাদের সরকার। আগামী পঁচিশ বছরে এক লক্ষ ষোল হাজার ডলার ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। বিদ্যুৎ আসুক বা না আসুক। এটা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটার দাম দ্বিগুণ। কারন যেখান থেকে তারা কয়লা কিনবে সেটাও আগাম কেনা নিষেধ।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের টাকা বিদেশে যাচ্ছে। এটা সাধারণ ব্যাপার না। এই টাকাগুলো কী চলে আসবে? সুইস ব্যাংকে এক বছে সাড়ে তিন হাজার কেটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা উঠলো পার্লামেন্টে। তখন অর্থমন্ত্রী বলল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোন টাকা হইলো। আর ব্যাংকে টাকা নড়েচড়েনি সেটার জন্য খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে।


২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এমপিদের টাকার হিসাব প্রকাশ করা হোক। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন রেহানা আপা আসে যায়। শোনা যায় সবকিছুতেই তার ভাগ আছে। আমাদের দাবী দেশে বিদেশে তার কত সম্পদ আছে প্রকাশ করা হোক।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ খাত টাকা লুট করার অন্যতম খাত। মেগা প্রজেক্ট মানে মেগা চুরি। কুইক রেন্টাল মানে কুইক চুরি। এই টাকা ফেরত পাবেন না। অর্থনীতিতে জবাবদিহিতা নেই।