সোজাসাপটা রিপোর্ট : কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নিয়ে মনিরুল আলম সেন্টু যে অপতৎপরতা শুরু করেছেন এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন কুতুবপুরের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিএনপি নেতারা। কুতুবপুরের নেতাদের মাঝে শহীদুল ইসলাম টিটু নিজে রয়েছেন যিনি নাকি ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক, রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকা এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ প্রমুখ। জানা গেছে মনিরুল আলম সেন্টু যে ভাবে বিএনপির কমিটি গঠনে নাক গলাচ্ছেন তাতে এই নেতারা বিব্রত হয়ে পরেছেন। তারা এখন অসহায়।
এদিকে এরই মাঝে ইউনিয়ন বিএনপিকে সেন্টু তার নিয়ন্ত্রনে নিয়েছেন। এখন নয়টি ওয়ার্ড বিএনপি তার ইচ্ছে মতো করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ড কমিটিগুলির মাঝে কোন ওয়ার্ডে কারা কোন পদে থাকবেন এই তালিকাও মনিরুল আলম সেন্টু নিজের হাতে করে দিচ্ছেন। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে তালিকা চেয়ারম্যান সেন্টু নিজের হাতে লিখে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফলে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি শেষ পর্যন্ত পূরোটাই চলে যাচ্ছে মনিরুল আলম সেন্টুর নিয়ন্ত্রনে। সূত্রমতে আরো জানা গেছে সেন্টু তার নিজের ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্যই কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপিকে তার নিয়ন্ত্রনে নিতে মরিয়া হয়ে চেষ্ঠা করছেন।
এদিকে কুতুবপুরের বিএনপি নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন সেন্টু এখন চরম ভাবে সুবিধাবাদী একজন মানুষ। তার কোনো দলীয় আদর্শ নেই। তিনি চরম ক্ষমতালোভী। প্রথমে বিগত বিএনপি সরকারের আমলে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসাবে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন এবং সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান এবং বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে চলছেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো শামীম ওসমান এবং গিয়াস উদ্দিন দুইজনেই মনে করেন সেন্টু তাদের সঙ্গে আছেন। আসলে বাস্তবতা হলো সেন্টু তাদের কারো সাথেই নেই। চেয়ারম্যান সেন্টু যা করছেন তার সবই তিনি করছেন তান নিজের স্বার্থে। কারন সেন্টু চান তিনি যতো দিন বেঁচে থাকবেন ততোদিন কুতুবপুরের চেয়ারম্যান থাকতে। তাই অন্তত বিএনপির সংগঠনটি যদি তার হাতে থাকে তাহলে চেয়ারম্যান নির্বাচনে তিনি বিএনপির এই সংগঠনকে তার নিজের স্বার্থে ব্যাবহার করতে পারবেন। তবে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল মনে করেন মনিরুল আলম সেন্টু যাই করেন না কেনো তার নিজের পক্ষে আর বিএনপির রাজনীতিতে ফিরা সহজ হবে না। কারন এই দলের চরম দু:সময়ে তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তাই আগামী দিনে বিএনপি যদি কখনো রাস্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহলেও সেন্টুকে বিএনপিতে ফেরৎ নেয়া সহজ হবে না। তাই সেন্টুর ইচ্ছে মতো যে ইউনিয়ন বিএনপি গঠন করা হচ্ছে তাতে বিএনপির ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না। তাই সেন্টুর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার কারনে কুতুবপুরে বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে খুবই দূর্বল হয়ে পরবে বলে অনেকে মনে করেন।
সেন্টু অপতৎপরতায় বিব্রত কুতুবপুরের বিএনপি নেতারা
